আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন কার না থাকে, তাই না? ছোটবেলায় যখন আকাশে প্লেন উড়তে দেখতাম, মনে হত যদি আমি ওই পাখির মতো উড়তে পারতাম! বড় হয়ে জানতে পারলাম, শুধু উড়লেই তো হবে না, দেশের জন্য কিছু করতে হবে। তাই ভাবলাম, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগ দিলে কেমন হয়!
কিন্তু কিভাবে কী করতে হয়, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। শুনেছিলাম, পরীক্ষা দেওয়া থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ, শারীরিক সক্ষমতা—সব মিলিয়ে বেশ কঠিন একটা প্রক্রিয়া।আসলে, একজন Air Force Pilot হওয়া মুখের কথা নয়। এর জন্য প্রয়োজন অদম্য সাহস, একাগ্রতা, আর দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে একজন পাইলট হওয়ার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।আসুন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিমান বাহিনীতে উড়ানের স্বপ্ন: নিজেকে প্রস্তুত করুনভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার পথটা বেশ চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব নয়। দরকার শুধু সঠিক তথ্যের আর একটুখানি চেষ্টা। চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক, কী কী করতে হবে।
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি:

* নিয়মিত শরীরচর্চা: দৌড়ানো, সাঁতার, যোগা—এগুলো আপনার স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করবে।
* মানসিক স্থিতিশীলতা: কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে পারাটা একজন পাইলটের জন্য খুব জরুরি। তাই ধ্যান (মেডিটেশন) করার অভ্যাস করুন।
* শারীরিক সক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য কিছু পরীক্ষা দিতে হয়, যেমন – উচ্চতা, ওজন, বুকের ছাতি এবং দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
* বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক: পদার্থবিদ্যা (Physics) ও গণিত (Mathematics) থাকা বাধ্যতামূলক। ভালো ফল করাটাও খুব জরুরি।
* স্নাতক ডিগ্রি: যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই আবেদন করা যায়। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিগ্রি থাকলে সুবিধা হয়।
* শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর উপরে নির্ভর করে আপনি কোন পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া
বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার জন্য কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই পরীক্ষাগুলো আপনার মেধা, সাধারণ জ্ঞান এবং মানসিক দক্ষতা যাচাই করে।
লিখিত পরীক্ষা:
* এয়ার ফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (AFCAT): এই পরীক্ষাটি সাধারণত বছরে দুবার হয়ে থাকে। ইংরেজি, জেনারেল নলেজ, নিউমেরিক্যাল এবিলিটি ও রিজনিংয়ের ওপর প্রশ্ন থাকে।
* কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এগজামিনেশন (CDS): যারা গ্র্যাজুয়েশন করছেন, তারা এই পরীক্ষা দিতে পারেন। এটি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) দ্বারা পরিচালিত হয়।
সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড (SSB) ইন্টারভিউ:
* এই ইন্টারভিউটি পাঁচ দিনের হয়। এখানে আপনার ব্যক্তিত্ব, মানসিক স্থিতিশীলতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
* গ্রুপ ডিসকাশন, সাইকোলজিক্যাল টেস্ট, ইন্টারভিউ—সব মিলিয়ে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একজন পাইলট হওয়ার যোগ্য।
* SSB ইন্টারভিউয়ের সময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানান।
মেডিক্যাল পরীক্ষা:
* শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: একজন পাইলটের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি।
* বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা: এখানে আপনার চোখ, কান, দাঁত, হৃদপিণ্ড—সবকিছু পরীক্ষা করা হয়। কোনও রকম সমস্যা থাকলে আপনাকে বাতিল করা হতে পারে।
চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ
সব বাধা পেরিয়ে যখন আপনি নির্বাচিত হবেন, তখন শুরু হবে আসল প্রশিক্ষণ। এই সময়টা একজন পাইলট হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বেসিক ট্রেনিং:
* এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ: এখানে আপনাকে বিমান ওড়ানো এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে।
* শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে কী ভাবে সামলাতে হয়, সেটা শেখানো হয়।
অ্যাডভান্সড ট্রেনিং:
* নির্দিষ্ট বিমানের ওপর প্রশিক্ষণ: ফাইটার, ট্রান্সপোর্ট বা হেলিকপ্টার—আপনি যে বিমান চালাবেন, তার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
* যুদ্ধ কৌশল ও অস্ত্র চালনা: শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র চালানো এবং যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়।
| পর্যায় | বিবরণ |
|---|---|
| শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি | নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক স্থিতিশীলতা, এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক সক্ষমতা অর্জন। |
| শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ডিগ্রি (ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিগ্রি থাকলে সুবিধা)। |
| প্রবেশিকা পরীক্ষা | AFCAT বা CDS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। |
| SSB ইন্টারভিউ | পাঁচ দিনের ইন্টারভিউ, যেখানে ব্যক্তিত্ব, মানসিক স্থিতিশীলতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। |
| মেডিক্যাল পরীক্ষা | শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা। |
| চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ | এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে বেসিক ট্রেনিং এবং অ্যাডভান্সড ট্রেনিং গ্রহণ। |
কমিশনিং এবং কর্মজীবন
ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর আপনি ভারতীয় বিমান বাহিনীতে একজন পাইলট হিসেবে কমিশন পাবেন। এর পরেই শুরু হবে আপনার আসল কর্মজীবন।* দেশ রক্ষার সুযোগ: দেশের আকাশসীমা রক্ষা করা এবং জাতীয় সুরক্ষায় অবদান রাখা আপনার প্রধান কাজ হবে।
* কেরিয়ারের সুযোগ: পদোন্নতি এবং আরও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনি নিজের কেরিয়ারকে আরও উপরে নিয়ে যেতে পারবেন।
এয়ারফোর্সে যোগ দেওয়ার কিছু অতিরিক্ত সুবিধা
* জীবন বীমা: বিমান বাহিনীতে যোগ দিলে আপনি জীবন বীমার সুবিধা পাবেন।
* আবাসন: থাকার জন্য সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
* চিকিৎসা: নিজের এবং পরিবারের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
* ছুটি: বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ছুটি পাওয়া যায়, যা আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।
বিশেষ টিপস
* নিয়মিত পড়াশোনা করুন: পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নিন। পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান করুন এবং মক টেস্ট দিন।
* শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখুন: প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
* যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান: স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে শিখুন।
* বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকুন: দেশ-বিদেশের খবর নিয়মিত রাখুন।মনে রাখবেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়া একটা কঠিন পথ। কিন্তু যদি আপনার মনে সাহস থাকে, আর দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সফল হবেন। আপনার স্বপ্ন পূরণ হোক, এই কামনা করি।বিমান বাহিনীতে উড়ানের স্বপ্ন: নিজেকে প্রস্তুত করুনভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার পথটা বেশ চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব নয়। দরকার শুধু সঠিক তথ্যের আর একটুখানি চেষ্টা। চলুন, ধাপে ধাপে জেনে নেওয়া যাক, কী কী করতে হবে।
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি:
নিয়মিত শরীরচর্চা: দৌড়ানো, সাঁতার, যোগা—এগুলো আপনার স্ট্যামিনা বাড়াতে সাহায্য করবে।
মানসিক স্থিতিশীলতা: কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে পারাটা একজন পাইলটের জন্য খুব জরুরি। তাই ধ্যান (মেডিটেশন) করার অভ্যাস করুন।
শারীরিক সক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য কিছু পরীক্ষা দিতে হয়, যেমন – উচ্চতা, ওজন, বুকের ছাতি এবং দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক: পদার্থবিদ্যা (Physics) ও গণিত (Mathematics) থাকা বাধ্যতামূলক। ভালো ফল করাটাও খুব জরুরি।
স্নাতক ডিগ্রি: যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হলেই আবেদন করা যায়। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিগ্রি থাকলে সুবিধা হয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর উপরে নির্ভর করে আপনি কোন পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া

বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার জন্য কিছু প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই পরীক্ষাগুলো আপনার মেধা, সাধারণ জ্ঞান এবং মানসিক দক্ষতা যাচাই করে।
লিখিত পরীক্ষা:
এয়ার ফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (AFCAT): এই পরীক্ষাটি সাধারণত বছরে দুবার হয়ে থাকে। ইংরেজি, জেনারেল নলেজ, নিউমেরিক্যাল এবিলিটি ও রিজনিংয়ের ওপর প্রশ্ন থাকে।
কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এগজামিনেশন (CDS): যারা গ্র্যাজুয়েশন করছেন, তারা এই পরীক্ষা দিতে পারেন। এটি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC) দ্বারা পরিচালিত হয়।
সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড (SSB) ইন্টারভিউ:
এই ইন্টারভিউটি পাঁচ দিনের হয়। এখানে আপনার ব্যক্তিত্ব, মানসিক স্থিতিশীলতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
গ্রুপ ডিসকাশন, সাইকোলজিক্যাল টেস্ট, ইন্টারভিউ—সব মিলিয়ে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একজন পাইলট হওয়ার যোগ্য।
SSB ইন্টারভিউয়ের সময় আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নিজের মতামত স্পষ্টভাবে জানান।
মেডিক্যাল পরীক্ষা:
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: একজন পাইলটের শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা: এখানে আপনার চোখ, কান, দাঁত, হৃদপিণ্ড—সবকিছু পরীক্ষা করা হয়। কোনও রকম সমস্যা থাকলে আপনাকে বাতিল করা হতে পারে।
চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ
সব বাধা পেরিয়ে যখন আপনি নির্বাচিত হবেন, তখন শুরু হবে আসল প্রশিক্ষণ। এই সময়টা একজন পাইলট হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বেসিক ট্রেনিং:
এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ: এখানে আপনাকে বিমান ওড়ানো এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে।
শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে কী ভাবে সামলাতে হয়, সেটা শেখানো হয়।
অ্যাডভান্সড ট্রেনিং:
নির্দিষ্ট বিমানের ওপর প্রশিক্ষণ: ফাইটার, ট্রান্সপোর্ট বা হেলিকপ্টার—আপনি যে বিমান চালাবেন, তার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
যুদ্ধ কৌশল ও অস্ত্র চালনা: শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র চালানো এবং যুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল শেখানো হয়।
| পর্যায় | বিবরণ |
|---|---|
| শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি | নিয়মিত শরীরচর্চা, মানসিক স্থিতিশীলতা, এবং প্রয়োজনীয় শারীরিক সক্ষমতা অর্জন। |
| শিক্ষাগত যোগ্যতা | বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক ডিগ্রি (ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞান বিষয়ক ডিগ্রি থাকলে সুবিধা)। |
| প্রবেশিকা পরীক্ষা | AFCAT বা CDS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। |
| SSB ইন্টারভিউ | পাঁচ দিনের ইন্টারভিউ, যেখানে ব্যক্তিত্ব, মানসিক স্থিতিশীলতা, নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। |
| মেডিক্যাল পরীক্ষা | শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরীক্ষা। |
| চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ | এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে বেসিক ট্রেনিং এবং অ্যাডভান্সড ট্রেনিং গ্রহণ। |
কমিশনিং এবং কর্মজীবন
ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর আপনি ভারতীয় বিমান বাহিনীতে একজন পাইলট হিসেবে কমিশন পাবেন। এর পরেই শুরু হবে আপনার আসল কর্মজীবন।
দেশ রক্ষার সুযোগ: দেশের আকাশসীমা রক্ষা করা এবং জাতীয় সুরক্ষায় অবদান রাখা আপনার প্রধান কাজ হবে।
কেরিয়ারের সুযোগ: পদোন্নতি এবং আরও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনি নিজের কেরিয়ারকে আরও উপরে নিয়ে যেতে পারবেন।
এয়ারফোর্সে যোগ দেওয়ার কিছু অতিরিক্ত সুবিধা
জীবন বীমা: বিমান বাহিনীতে যোগ দিলে আপনি জীবন বীমার সুবিধা পাবেন।
আবাসন: থাকার জন্য সরকারি আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
চিকিৎসা: নিজের এবং পরিবারের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
ছুটি: বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক ছুটি পাওয়া যায়, যা আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।
বিশেষ টিপস
নিয়মিত পড়াশোনা করুন: পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি নিন। পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান করুন এবং মক টেস্ট দিন।
শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখুন: প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ান: স্পষ্ট ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলতে শিখুন।
বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে অবগত থাকুন: দেশ-বিদেশের খবর নিয়মিত রাখুন।
মনে রাখবেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়া একটা কঠিন পথ। কিন্তু যদি আপনার মনে সাহস থাকে, আর দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সফল হবেন। আপনার স্বপ্ন পূরণ হোক, এই কামনা করি।
শেষ কথা
আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যোগদানের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করবে।
যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আমরা আপনার সাফল্যের কামনা করি এবং আশা করি আপনি দেশের সেবা করার সুযোগ পাবেন।
জয় হিন্দ!
দরকারী কিছু তথ্য
১. AFCAT পরীক্ষার জন্য অনলাইনে অনেক প্রস্তুতি সামগ্রী পাওয়া যায়, সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
২. SSB ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব এবং যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করুন।
৩. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং নিশ্চিত হন যে আপনি শারীরিকভাবে ফিট আছেন।
৪. বিমান বাহিনীতে যোগদানের আগে, এই পেশার চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন।
৫. সফল পাইলটদের জীবন কাহিনী পড়ুন, যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সারসংক্ষেপ
ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সঠিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
নিয়মিত পড়াশোনা, শারীরিক ফিটনেস এবং আত্মবিশ্বাস আপনাকে এই কঠিন পথ অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।
এয়ারফোর্সে যোগদানের মাধ্যমে আপনি দেশ রক্ষার সুযোগ পাবেন এবং একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖
প্র: ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে?
উ: দেখুন, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা লাগে। প্রথমত, আপনাকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে, সাধারণত আপনার বয়স ১৯ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে, আপনাকে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে এবং পদার্থবিদ্যা ও গণিতে ভাল নম্বর থাকতে হবে। এছাড়াও, আপনাকে অবিবাহিত হতে হবে। শারীরিক যোগ্যতারও কিছু মাপকাঠি আছে, যেমন উচ্চতা এবং দৃষ্টিশক্তি। এই সমস্ত যোগ্যতা থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। আমি যখন প্রথম জানতে পারি, আমার মনে হয়েছিল, “বাবা!
এত কিছু!” তবে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।
প্র: পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসে? প্রস্তুতি কিভাবে নেব?
উ: পরীক্ষায় সাধারণত পদার্থবিদ্যা, গণিত, সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজি ভাষার উপর প্রশ্ন আসে। এছাড়া, আপনার মানসিক এবং শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রস্তুতির জন্য NCERT-এর বইগুলো খুব ভালোভাবে পড়ুন। নিয়মিত মক টেস্ট দিন, এতে পরীক্ষার পরিবেশের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। আর হ্যাঁ, পুরনো প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করতে ভুলবেন না। আমি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন রোজ নিয়ম করে ৬-৭ ঘণ্টা পড়তাম। বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করতাম, এতে অনেক জটিল বিষয় সহজে বোঝা যেত।
প্র: প্রশিক্ষণ কতদিন চলে এবং কোথায় হয়?
উ: ভারতীয় বিমান বাহিনীতে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ বেশ দীর্ঘ এবং কঠিন। সাধারণত, এই প্রশিক্ষণ প্রায় ৩ বছর ধরে চলে। প্রথমে আপনাকে Air Force Academy তে বেসিক মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়া হবে। এরপর, আপনাকে বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজ ওড়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণ সাধারণত হায়দ্রাবাদের কাছে অবস্থিত Dundigal Air Force Academy এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট ট্রেনিং সেন্টারে দেওয়া হয়। আমার এক বন্ধু প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বলেছিল, “ভাই, জীবনটা যেন একটা roller coaster ride!
একদিকে যেমন শারীরিক কষ্ট হয়, তেমনই নতুন কিছু শেখার আনন্দও থাকে।”
📚 তথ্যসূত্র
Wikipedia Encyclopedia






